আমি কখনো বাংলা সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম না। বাংলা গল্প-কবিতা তেমন পড়া হয়ে উঠেনি। যেটুকু পড়তাম তা বাধ্য হয়ে। স্কুল-কলেজে বাংলা বলে একটা সাবজেক্ট বই থাকায় সেদিকে হাত বাড়াতে হতো৷ তাও আবার ফাইনাল পরীক্ষার আগের দিন। আর, বেশির থেকে বেশি পছন্দ করতাম ছোটবেলায় পড়া বাংলা ছড়াগুলি। বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যিকের বই পড়া বলতে আমার দৌড় তেমন একটা ছিলো না। বাংলা সাহিত্যের পেছনে যত মিটার দৌড়াতাম তা হলো তিন গোয়েন্দা সিরিজ, সাইন্স ফিকশন ও ফ্যান্টাসি আর কিছু লিপিবদ্ধ ইতিহাস।
অনেক আগে একবার কাজী নজরুল ইসলামের কোনো একটা কবিতা পড়েছিলাম। যার ভাষা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে বোধগম্য হয়ে উঠে নি। পরবর্তিতে আমার এক স্কুল শিক্ষক কবিতার পাঠা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। লাইফে ফ্রাস্ট টাইমের মতো সাহিত্যের মজা উপলব্ধি করলাম৷ কাজী নজরুল ইসলাম তার সাধারন ভাষায় কি শক্ত বার্তাটি না দিয়ে গেছেন সেই কবিতায় ৷ তবে আমার নিকট এখনো নজরুলের লিখা গুলো কঠিন মনে হয়।
উনার লেখাগুলো বুঝতে আমার হয়তো আরো ৩ থেকে ৪ দশক লেগে যেতে পারে।
যায়হোক, মেইন পয়েন্ট থেকে ডিস্ট্রেক্ট হয়ে পড়ছি।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম'এর সেই কবিতার মূল পাঠ বোধগম্যতা পাওয়ার পর আমার এলাকার পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে রেন্ডম কিছু লেখকের বই পড়েছিলাম। এর মধে একটি বই আমার খুব ভালো লেগে যায়। বইটির নাম আমার মনে নেই। তবে সেই বইয়ের লেখকের নাম যে ছিলো হুমায়ূন আহমেদ সে জিনিসটা খেয়াল আছে৷ হুমায়ূন আহমেদকে আমি তখনো চিনতাম না।
তারপরেও তার লেখা কয়েক পিস সিরিজ বই পড়েছি।
আমি বুঝতে পারিনি যে এভাবে বাংলা সাহিত্যের প্রতি আমার টান পড়ে যাবে৷
তো এক কথায় বলতে গেলে হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের সাথে আমায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন৷
খাটি সত্য বাক্য হলো, বাংলা গল্প-উপন্যাস এর জন্য একটা মাস্টার পিস হলেন হুমায়ূন আহমেদ। এতে কোনো সন্দেহ নেয়।
পাঠকগন তার মিচির আলি অথবা হিমু নিয়ে মেতে থাকলেও আমার কাছে তার লেখা সবচেয়ে পছন্দের বই হলো 'আমি এবং তিনটি প্রজাপতি'৷ যা এক শিক্ষকের সাজেশনে গত বছর পড়েছিলাম৷
বর্তমানে, হুমায়ূন আহমেদের 'মানবী' বইটি পড়া শুরু করবো করবো বলেও পড়া শুরু করতে পারি নি। আমার মনে হয়, এক বছর আমার এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।
লিখক - শাহিনুল জেমি 'র ফেসবুক প্রোফাইল থেকে...