মোঘল স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হিসেবে চট্টগ্রামের চকবাজার ওয়ার্ডের চন্দনপুরা এলাকায় সিরাজউদ্দৌলা সড়কের পশ্চিম পাশে স্বগৌরবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ যা চন্দনপুরা মসজিদ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় যে, মোঘল শাসনামলেই মোঘল রাজ্যের নিদর্শন হিসেবে এই মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল।
মসজিদের প্রবেশদ্বারের কার্নিশে খোদাই করে মাস্টার আব্দুল হামিদের নাম লিখা রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ শাসনামলে এই মসজিদের ১ম সংস্কারের কাজ শুরু করেন যা ১৯৫০ সালে শেষ হয়। সংস্কার কাজের জন্য লাহোর থেকে মোঘল ঘরানার কারিগর আনা হয়েছিল এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল মসজিদটি নির্মাণের উপকরণ। সেই সময় সংস্কারকাজে প্রায় চার লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়।
মসজিদটিতে ১৫ টি গম্বুজ আছে। প্রচলিত আছে যে সবচেয়ে বড় গম্বুজটি ১০ টন পিতল দিয়ে তৈরি। তিন গন্ডা জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদটির গম্বুজগুলো পূর্বে রোদের আলোয় ঝলমল করে।
বিভিন্ন জায়গায় চট্টগ্রামের প্রতীক হিসেবে এই মসজিদের ছবি ব্যবহার করা হয়। পর্যটন কর্পোরেশন এমনকি জাপানভিত্তিক এশিয়া ট্র্যাভেল টুরস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও মসজিদটির ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইতিহাসবিজড়িত দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপত্যশৈলীটি হারিয়েছে তার আগের জৌলুস। তবুও এখনো এই মসজিদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটক। চট্টগ্রামের মাটিতে স্বগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদ চট্টগ্রাম শহরের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-সংগৃহীত