বাবার গানের দলে অন্তরভুক্তির অনিচ্ছা থাকায় বাড়ি হতে বের হয়ে আসা ছেলেটার আশ্রয় হয় আজিজ বোর্ডিংয়ে।ভেঙ্গে যাওয়া দল ফিলিংসকে পুনরায় গঠন করেন।১৯৮৭ সালে নিজের সুরেই অ্যালবাম করেন "ষ্টেশান রোড" নামে।নিজের দরাজ কন্ঠ আর মৌলিকতায় পরিচিতি পেতে থাকেন অল্প-স্বল্প আকারে।তারপর অ্যালবাম "অনন্যা"।"জেল থেকে বলছি" অ্যালবামের সেইম নামের গানটি দিয়ে পরিচিতির অন্যান্য মাত্রা পান।
তারপর নগর বাউল অ্যালবাম।তার পরের বছর ই পুরোপুরি ঘুরে দাড়ান “দুখিনী দু:খ করো না" অ্যালবামের মাধ্যমে।যেখানে “সুলতানা বিবিয়ানা”এবং “দুখিনী দু:খ করো না” এই গানগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ভক্ত হৃদয়ে।
তারপর প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে "মা" গানটি।যা এখনো ভক্তদের মাঝে এক বিশাল পাওয়া। তারপর আসে "বাবা" গানটি।
একে একে আসতে থাকে "গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া" “লিখতে পারি না কোনো গান" “পাপী" “তারায় তারায়” “সেলাই দিদিমনি" “আসবার কালে" গানগুলো।
জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন “দেশা আসছে “ গানটির জন্য। এতক্ষন কার কথা বলছিলাম? হয়তো মুখের কোণো এক চিলতে হাসি আর ভালোবাসার তীব্রতায় এসে গেছে...
ফারুক মাহফুজ আনাম উরফে নগর বাউল জেমস নামটা। ১৯৬৪ সালের ২ রা ই অক্টোবরে রাজশাহীর নওগাঁ-তে জন্মগ্রহন করেন তিনি। এই বছর ৫৫ তে পা দিলেন জনপ্রিয় এই ব্যান্ড শিল্পী জেমস!