আমার ইচ্ছে ছিল নৃত্যশিল্পী হবো।এজন্য নাচ শিখছিলাম। নাচ করতে করতেই অভিনয়ে জড়িয়ে যাই।সেটা ১৯৮৮ সালের কথা।টিভির একটা নাচের অনুষ্ঠান এর জন্য রিহার্সাল হচ্ছিল।একটা লাইভলি বাচ্চা নাচানাচি করছে,ক্যামেরা ফ্রি,পটপট করে কথা বলছে- সে বাচ্চাটাকে একটা নাটকের জন্য নিয়ে গেল।দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্যবশত সেই বাচ্চাটা ছিলাম আমি।আমাকে একটা স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দেয়া হল।স্বাধীনতা দিবসের জন্য নাটিকা- নাটক না।" স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা " নাটকের প্রযোজক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়া হল।উনি আমাকে স্ক্রিপ্ট দেখিয়ে বললেন, "পড়ো ত দেখি! আমি পটপট করে পড়ে গেলাম।আসলে তখন ত আমি অভিনয় কি জিনিস জানিনা।তারাও হয়ত দেখেছেন যে একটা ছোট্ট বাচ্চা,সুন্দর, ছটফটে- এই হিসেবে আমাকে নাটিকায় নিয়ে নিলেন।নাটকটি প্রচার হওয়ার পর সবার কাছ থেকে প্রশংসা পেলাম।
বিশেষ করে আমার সমসাময়িক তারিন আপু ও ঈশিতা তখন অভিনয় করতো আমাকে ওরা খুব প্রশংসা করল।এটার পরপর অনেকগুলো নাটকে শিশু চরিত্রে ডাক পেতে শুরু করলাম। মামুনুর রশীদের সুপ্রভাত ঢাকা,স্বপ্নের শহর,নাজমুল আলমের দেয়াল,রিয়াজউদ্দিন বাদশাহ র মোহর আলী সহ আরো অনেক নাটক।এভাবে নাচের চেয়ে অভিনয়েই জড়িয়ে গেলাম বেশি।এজন্য কেউ যখন অভিনয়ে আসা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে,আমি মজা করে বলি অভিনয়ে এসেছি নাচতে নাচতে"
নিজের অভিনয় নিয়ে এভাবেই বলেছিলেন শাওন। শুরুতে " পোট্রেট, অন্য পৃষ্ঠা, লেডিস হোস্টেল" সহ অন্য নির্মাতা দের নাটকে অভিনয় করলেও পরে শুধু হুমায়ুন আহমেদের নাটকেই দেখা গেছে তাকে। তবে শাওন ছোটবেলায় জিতেছেন নতুন কুড়ি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার। পড়াশোনা করেছেন স্থাপত্য বিদ্যায়, নাটক ও সিনেমা করেছেন পরিচালনা,বিজ্ঞাপন এ কাজ করেছেন, গান করেন, সিনেমায় কোরিওগ্রাফি করেছেন।হুমায়ুন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্র এ অভিনয় করে শুধু অভিনেত্রী পরিচয়ে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। আর এইজন্য শুধু অভিনয় নয়, অনেক কিছু নিয়েই শাওন।
-অনলাইন থেকে সংগৃহীত