ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার দিঘা-তমলুক রেললাইনের ওপর বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে পাবজি খেলছিল দুই কিশোর। খেলায় মগ্ন থাকায় ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পায়নি তারা। এমনকি ট্রেন চালক তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বুধবার দিবাগত রাতে সন্ধ্যায় বিরামপুরের কাছে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই কিশোরের নাম অপূর্ব দাস ও সুব্রত পাত্র। তারা বিরামপুর ও ফতেপুরের বাসিন্দা। সন্ধ্যার দিকে তারা দিঘা-তমলুক রেললাইনের ওপর বসেছিল। তখন দিঘা থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দিঘা-হাওড়া কান্ডারি এক্সপ্রেস। আচমকা রেললাইনের ওপর দুই কিশোরকে বসে থাকতে দেখেন চালক। তাদের সতর্ক করতে ট্রেন চালক অনেক দূর থেকে বাঁশি বাজাতে শুরু করেন। কিন্তু দুই কিশোর খেলায় এতটাই মগ্ন ছিল যে বাঁশির শব্দ কান পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি।
কানে হেডফোন থাকায় তারা শুনতে পায়নি বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলেই ট্রেনে কাটা পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দুই কিশোরের দেহ।