আমার নাম সুলতান, সত্তর বছর হইলো বয়স।
সারা এলাকার মানুষ এক নামে চিনে সুলতান গাছি হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধ শুধু হবার ১ বছর আগে থেইখা খেজুর গাছ বান্দি, এখন প্রায় ৫০ বছর পার হয়, কখনো একবারো বাদ যায়নাই, একলগে ২০০-৩০০ গাছ আমি একা বানছি, আমার ছেলে মেয়ে এই খেজুরের রসের টাকায় পড়াশুনা করাইছি।
দুইটা ছেলে বিদেশ পাঠাইছি, পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন দিয়া বাড়ি করছি এক তলার কাজ করছি, আমার একটা ছেলে খেজুরের রস ঢাকায় বেইচা ফেরার পথে এক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাও এই বাধা বন্ধ করিনাই, সবাই আমারে ভালোবাসে খুব।আদর করে সবাই।
৪৯ বছর ধরে গাছ বান্ধি, আমার বাবায় ও বান্ধতো, কিন্তু এইবারের পর আর গাছ বান্ধমুনা, আর জানে কুলায় না, এইবারই শেষ, খুব ইচ্ছা ওমরা হজ্জ এ যামু, তারপর তো আর এসব মানাইবোনা, আর শরীলেও তো আর জোড় পাইনা। খুব ইচ্ছা আছিলো ইত্যাদির মধ্যে আমারে দেখাইবো, এই গাজীপুরে আমার চেয়ে পুরান গাছি একটাও নাই, পুরা কালীগঞ্জ এর গাছ আমি কাইটা বেড়াইছি, রস দিছি মানুষরে, মানুষ দোয়া করছে। এইবার শেষ, আর গাছ বান্ধমুনা, আমার শেষ ইচ্ছা আছিলো যদি ইত্যাদি আইসা আমার এই গাছগুলার ছবি তুইলা নিয়া যাইতো।
খুব সরল মনে কথা গুলো বলেছিলেন গাজীপুর কালীগঞ্জের এই গাছি সুলতান চাচা। এই বয়সেও গাছে চরে খেজুরের রস সংগ্রহ করে যেন একপ্রকার বাঁচিয়ে রাখছে গ্রাম বাংলার পুরোনো ঐতিহ্যে কে।
সুলতান চাচারা সব সময় ভালো থাকুক ।
কালীগঞ্জ ,গাজীপুর।
ক্রেডিট- কাউসার আহমেদ রোহান।
সারা এলাকার মানুষ এক নামে চিনে সুলতান গাছি হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধ শুধু হবার ১ বছর আগে থেইখা খেজুর গাছ বান্দি, এখন প্রায় ৫০ বছর পার হয়, কখনো একবারো বাদ যায়নাই, একলগে ২০০-৩০০ গাছ আমি একা বানছি, আমার ছেলে মেয়ে এই খেজুরের রসের টাকায় পড়াশুনা করাইছি।
দুইটা ছেলে বিদেশ পাঠাইছি, পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন দিয়া বাড়ি করছি এক তলার কাজ করছি, আমার একটা ছেলে খেজুরের রস ঢাকায় বেইচা ফেরার পথে এক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাও এই বাধা বন্ধ করিনাই, সবাই আমারে ভালোবাসে খুব।আদর করে সবাই।
৪৯ বছর ধরে গাছ বান্ধি, আমার বাবায় ও বান্ধতো, কিন্তু এইবারের পর আর গাছ বান্ধমুনা, আর জানে কুলায় না, এইবারই শেষ, খুব ইচ্ছা ওমরা হজ্জ এ যামু, তারপর তো আর এসব মানাইবোনা, আর শরীলেও তো আর জোড় পাইনা। খুব ইচ্ছা আছিলো ইত্যাদির মধ্যে আমারে দেখাইবো, এই গাজীপুরে আমার চেয়ে পুরান গাছি একটাও নাই, পুরা কালীগঞ্জ এর গাছ আমি কাইটা বেড়াইছি, রস দিছি মানুষরে, মানুষ দোয়া করছে। এইবার শেষ, আর গাছ বান্ধমুনা, আমার শেষ ইচ্ছা আছিলো যদি ইত্যাদি আইসা আমার এই গাছগুলার ছবি তুইলা নিয়া যাইতো।
খুব সরল মনে কথা গুলো বলেছিলেন গাজীপুর কালীগঞ্জের এই গাছি সুলতান চাচা। এই বয়সেও গাছে চরে খেজুরের রস সংগ্রহ করে যেন একপ্রকার বাঁচিয়ে রাখছে গ্রাম বাংলার পুরোনো ঐতিহ্যে কে।
সুলতান চাচারা সব সময় ভালো থাকুক ।
কালীগঞ্জ ,গাজীপুর।
ক্রেডিট- কাউসার আহমেদ রোহান।